নিজস্ব প্রতিবেদক:
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৮ জুনের মধ্যে সড়ক মহাসড়ক মেরামতের প্রশ্নে কোন উদাসিনতা সহ্য করা যাবেনা। মুখের কথা মুখে থাকবে, বাস্তবে কাজ হবেনা, এমন নির্দেশনা আমি দিতে চাইনা। তিনি বলেন, বৃষ্টি যেন অজুহাত না হয়ে দাঁড়ায়। বৃষ্টির সময় যে ট্রিটমেন্ট রাস্তায় সে ট্রিটমেন্ট দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২২ মে) সকালে মেঘনা সেতুর পূর্বপাড় গজারিয়া এলাকায় ঢাকা চট্টগ্রাম সহাসড়কের যানজট নিরসনে করনীয় নির্ধারন সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মা সেতু ও রাস্তা নির্মাণ কাজ নিয়ে কোন দুনীর্তির অভিযোগ উঠাতে পারেনি। কিন্তু ছোট ছোট কাজের মানের যে অবস্থা এক পশলা বৃষ্টি হলেই রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে যাবে এমন কাজ করার দরকার কি। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনে উন্নত হয়েছে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে কাচঁপুর পর্যন্ত এইট লেন। কিন্তু অর্ধেক রাস্তা দখল করে আছে। এটা দেখার কি কোন অথরটি নেই। যাদের দায়িত্ব তারা এটা দেখবেন। আজকের পর থেকে এটা দেখতে চাইনা। এইট লেনের রাস্তা ও ফোর লেনের রাস্তা নির্মাণ হয়েছে বেশীদিন হয়নি। কিন্তু আসার পথে দেখলাম ছেড়া কাথা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগে চার দিন এবং পরের চারদিন ২৪ ঘন্টা সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে। ঈদের আগের তিনদিন মহাসড়কে যে কোন ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
জনগনের যাতায়াতের সমস্যা দুর করবেন। পরিপূর্ণ শান্তি দিতে পারবো না, কিন্তু ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তিতো দিতে হবে।
মন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, এমপি মন্ত্রীসহ যে কোন ভিআইপি গাড়ি রং সাইডে আসলে মুখের দিকে না তাকিয়ে জারিমানা করবেন, সেটা আমার গাড়ি হলে আমারটাকেও।
সড়কে মৃত্যুর কারণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক্সিডেন্টে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ছোট ছোট এইসব যানবাহনের কারনে। মোটর সাইকেলে তিনজন উঠে, কারো মাথায় হেলমেট থাকেনা, ইজিবাইক ধাক্কালাগলে মরে সব যাত্রী মরে যায়। এ জন্য বাংলাদেশে মৃত্যুর হার এতো বেশী। সড়ক মহাসড়কের পাশে যে সংস্থা ময়লা আর্বজনা ডাম্পিং করবে সেই অথরটির অফিসের সামনে ময়লা ট্রাকে করে রেখে আসার নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-১) গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক, সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-২) নজরুল ইসলাম বাবু, সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-৩) লিয়াকত হোসেন খোকা, সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-৫) সেলিম ওসমান, সড়ক পরিবহন সচিব নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগামে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।